পুরস্কার নিতে এসে প্রধানমন্ত্রীকেই পুরস্কার দিয়ে গেল শিশুটি


ছোট্ট মেয়ে পিয়াসা। টাঙ্গাইল সদরের জোবায়দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম
শ্রেণির এই ছাত্রীর স্বপ্নের মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। মানুষ ছোট
হলেও ছবি আঁকায় দারুন হাত পিয়াসার। এরই মধ্যে ছবি আঁকায় জাতীয় পর্যায়ের
পুরস্কারও পেয়েছে শিশুটি।
গত আড়াই মাস চেষ্টা করে পিয়াসা বঙ্গবন্ধু
কন্যার একটি পোট্রেট আঁকে। তার মা তাপসী রানী সরকার জানালেন, মেয়েটা অনেক
পরিশ্রম করেছে। মুখ মিলে তো চোখ মিলে না, চুল মিলে তো ভ্রু মিলে না। আড়াই
মাস চেষ্টার পর বঙ্গবন্ধু কন্যার ছবি নিয়ে পিয়াসার সন্তুষ্টি আসে।
উদ্দেশ্য একটাই, যেকোনো ভাবেই হোক এই ছবিটি সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিবে। তার সেই স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে।
কিভাবে
স্বপ্নটা সত্যি হলো সেই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল
আলম খোকন। আজ বুধবার রাতে তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, গত আড়াই মাস চেষ্টা
করে পিয়াসা বঙ্গবন্ধু কন্যার একটি পোট্রেট আঁকেন। তার মা তাপসী রানী সরকার
জানাল, মেয়েটা অনেক পরিশ্রম করেছে। মুখ মেলে তো চোখ মেলে না। চুল মেলে তো
ভ্রূ মেলে না। আড়াই মাস চেষ্টার পর বঙ্গবন্ধু কন্যার ছবি নিয়ে পিয়াসার
সন্তুষ্টি আসে। উদ্দেশ্য একটাই, যেকোনোভাবেই হোক ছবিটি সে প্রধানমন্ত্রীর
কাছে পৌঁছে দেবে। তার সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে।
খোকন লিখেছেন, কীভাবে
স্বপ্নটা সত্যি হলো আসি সেই গল্পে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে
যোগ দিতে ছবিটি নিয়ে তিনদিন আগে তারা ঢাকায় আসে। শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য
মোট ১০৮ জনকে এই অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হবে, পিয়াসা এই ভাগ্যবানদের মধ্যে
একজন। গত দুইদিন তারা অনেক চেষ্টা করেও ছবিটি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার কোনো
সুযোগ খুঁজে পায়নি। নিরাপত্তা বিভাগ থেকেও বলে দেওয়া হয়েছে, অতিরিক্ত কোনো
কিছু সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করা যাবে না।
পুরাপুরি হতাশ হয়েই আজ
মা’কে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসে পিয়াসা। কাগজে মোড়ানো ছবিটি নিয়ে বাইরে
দাঁড়িয়ে থাকেন বাবা শংকর চন্দ্র সরকার। মা-মেয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের
হলেই তারা ছবিটি সঙ্গে করে নিয়েই টাঙ্গাইল চলে যাবেন।
কিন্তু ১১ বছরের যেই শিশুটির স্বপ্নের মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার সাহস নিশ্চয়ই কম নয়। যথারীতি নাম ডাকা হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে গিয়ে পুরস্কার নেয় পিয়াসা সরকার। প্রধানমন্ত্রীর শিশুসুলভ আন্তরিকতায় আরও সাহসী হয়ে ওঠে পিয়াসা। সে বলেই ফেলে ছবিটির কথা। কান্না করে দেয়। তাকে যে আনতে দেওয়া হয়নি সেটিও বলতে ভোলেনি।
সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ছবিটি নিয়ে আসার জন্য। তৎপর হয়ে ওঠেন সবাই। পিয়াসার কাছ থেকে তার বাবার ফোন নাম্বার নিয়ে তারা যোগাযোগ করেন। বাইরে ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাবাকে ভেতরে নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভালোবাসায় আঁকা পোট্রেটটি তুলে দেন পিয়াসা।
আশরাফুল
আলম খোকন ফেসবুক পোস্টে জানান, বিকেলে যখন পিয়াসার বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে
কথা হয় ততক্ষণে তারা টাঙ্গাইলে চলে গেছেন। তারা জানালেন, স্বপ্ন পূরণের
আনন্দ আর খুশিতে তখন কাঁদছিলেন পিয়াসা।