রংপুরকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ঢাকা


স্পোর্টস রিপোর্টার: চ্যাম্পিয়ান রংপুর রাইডার্সকে গুড়িয়ে বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসরের ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটস। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে মাশরাফির বিন মুর্তজার রংপুরকে ৫ উইকেটে হারায় সাকিব আল হাসানের ঢাকা। শুক্রবার বিপিএলের এই আসরের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে ডায়নামাইটস। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪২ রান করে রাইডার্স।
এরপর দলের স্কোর বোর্ডে আর কোন রান যোগ না হতেই মাশরাফির দল হারায় ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত রবি বোপারার ৪৯ রানে ভর করে ১৪২ রানে সবকটি উইকেট হারায় তারা। দলের ৬ ব্যাটসম্যানই আউট হয় দুই অংক স্পর্শ না করেই। ঢাকার দেশি তারকা পেসার রুবেল হোসেন একাই ৩.২ ওভারে নেন ৪ উইকেট। ম্যাচ সেরাও হন তিনি।
জবাব দিতে নেমে দলের ৪ রানের সময় ঢাকার লঙ্কান তারকা ওপেনার উপল থারাঙ্গা আউট হন। কিন্তু সেখান থেকে দলকে ভরসা দেন সূনীল নারিন ১৪ ও রনি তালুকদার ৩৫ রান করে।
নারিন আউট হওয়ার পর অধিনায়ক সাকিব ২০ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের পথে রাখেন।
তার
বিদায়ের পর পোলার্ড এসে ৮ বলে ১৪ রানের ছোট ঝড় তুলে ফিরে যান। এরপর দলের
৯৭ রানের সময় আউট হন রনিও। ম্যাচে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ালেও অন্দ্রে রাসেল
১৯ বলে ৪০ ও সোহান ৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন ২০ বল
বাকি থাকতেই। রাসেল তার ইনিংসে একটিও চারের মার হাঁকাননি। তবে তার ব্যাট
থেকে এসেছে ৫ টি ছয়ের মার।
বিপিএলের প্রথম দুই আসরে চ্যাম্পিয়ান ছিল
ঢাকা গ্যালাডিয়েটসর। এরপরই ফিক্সিংয়ের দায়ে টানা দুই আসরের চ্যাম্পিয়ান
দলটি ও তাদের ফ্র্যাঞ্চইজি নিষিদ্ধ হয়। তৃতীয় আসরে নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা
ডায়নামাইটস নামে বিপিএলে অংশ নেয়। তবে সেই আসরে চ্যাম্পিয়ান হয় কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু পরের আসরেই ডায়নামাইটসরা চ্যাম্পিয়ান হয়ে তাদের
শক্তির জানান দেয়। ৫ম আসরে ফাইনালে গেলেও চ্যাম্পিয়ান হয় রংপুর। সেই
চ্যাম্পিয়ানদের বিদায় করেই গত আসরের রানার্স আপ ঢাকা এবার তৃতীয় বারের মত
ফাইনাল নিশ্চিত করে। শুক্রবার তাদের সামনে সুযোগ কুমিল্লাকে হারিয়ে দ্বিতীয়
শিরোপা ঘরে তোলার।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুর মেহেদী মারুফের পরিবর্তে ওপেন করতে নামিয়েছিলেন নাদিফ চৌধুরীকে। সুযোগ পেয়েই ক্রিস গেইলকে একপাশে রেখে ঝড় তোলেন নাদিফ। ২ চার ও ৩ ছয়ে মাত্র ১২ বলেই ১৭ রান করে আউট হন শুভাগত হোমের বলে। এরপর রুবেল হোসেনই নামান রংপুরের ধ্বস। এক ওভারেই বিদায় করেন গেইল ও রুশোকে। ৪২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারানো দলকে টানছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু নিজের ৩৮ রানের সময় তরুণ পেসার কাজী অনিকের শিকার হন তিনি।
এরপর একাই লড়াই করেন রবি বোপারা। ৪৩ বলে খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত রুবেল চতুর্থ শিকার। এই পেসারের তৃতীয় শিকার ছিল নাহিদুল। সব মিলিয়ে রংপুরের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন দেশি এই পেসারই।